সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহঃ
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষক:শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী:শ্রেণিকক্ষের অনুপাত হ্রাসকরণের লক্ষ্যে এ জেলায় নতুন শিক্ষকের পদসৃষ্টিসহ ৬৪৫ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। বাস্তব চাহিদার আলোকে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে মোট ৭৭১ টি দপ্তরি কাম প্রহরী পদ সৃজন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৪১ নলকূপ স্থাপনসহ ১৪৯ টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যের মোট ৪৫১৫০২৮ টি বই বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, ঝরেপড়া রোধসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ১৪৬৪০৯ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। ১১৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখবে প্রতিটি শিশু (ইসিএল) এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাছাড়া, ১১৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বিকেন্দ্রীকরণের ১১৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (SLIP)বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় প্রতি বাৎসরিক ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০১২ সাল হতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালিত হয়ে আসছে। একই সাথে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নিয়মিতভাবে আন্ত:প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস